ওঁ তৎ সৎ
নমষ্কার 🙏🙏🙏
সুধি পাঠকবৃন্দ আজ আমরা নিয়মিত ধর্মীয় তথ্য উপস্থাপনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে কথা বলবো । আজকে আমরা " বাংলা বর্ণমালা দিয়ে ধর্মীয় কিছু শব্দ " সম্পর্কে জানবো। চলুন আজকের বিষয়টি শুরু করা যাক
< বাংলা বর্ণমালা দিয়ে ধর্মীয় কিছু শব্দ >
ক= কলিযুগে কৃষ্ণচন্দ্র গৌররূপে আসে।
খ= খোল-করতাল নিয়ে মাতে কীর্তন উল্লাসে।
গ= গিরিধারী গোবিন্দ ব্রজের জীবন।
ঘ= ঘরে ঘরে সবে কর নাম সংকীর্তন।
ঙ= শঙ্খের পরশে ধ্রুব জ্ঞান লভিল।
চ= চন্দন সুবাসে হরি আনন্দিত হল।
ছ= ছয় গোঁসাই করে বৃন্দাবনে বাস।
জ= জগতে প্রসিদ্ধ নামাচার্য হরিদাস।
ঝ= ঝুলন বেদীতে রাধাকৃষ্ণ বিরাজিত।
ঞ= গোঁসাঞি অদ্বৈত প্রভু জগৎ পূজিত।
ট= টিয়াপাখি বৃন্দাদেবীর অতি অনুগত।
ঠা= ঠাকুর মশাই আছেন যজ্ঞেতে রত।
ড= ডাকাতের পিঠে চড়ে ছোট্ট নিমাই।
ঢ= ঢাক বাজিয়ে দুর্গা মাকে আহবান জানাই।
ণ= বেণুধারী বাজায় বেণু নাচে বৃন্দাবন।
ত= তুলসী মঞ্জুরি কর কৃষ্ণে সমর্পণ।
থ= থৈ থৈ জলে কৃষ্ণের জমুনা বিহার।
দ= দুষ্ট কংসেরে কৃষ্ণ করেন সংহার।
ধ= ধেনু চরায় বৃন্দাবনে কানাই বলাই।
ন= নদীয়ায় বিলায় নাম নিমাই নিতাই।
প= পাদসেবন নববিধা ভক্তির এক অঙ্গ।
ফ= ফাল্গুনে আবির্ভূত হলেন শ্রী গৌরাঙ্গ।
ব= বিষপানে নীলকণ্ঠ হল মহাদেব।
ভ= ভক্ত হরিদাসের প্রিয় শ্রীচৈতন্যদেব।
ম= ময়ূরপুচ্ছ করে কৃষ্ণের মস্তক শোভন।
য= যমুনায় কৃষ্ণ করেন কালীয় দমন।
র= রাধাঠাকুরাণী হন বৃন্দাবনেশ্বরী।
ল= লক্ষ্মীদেবী হন সর্ব ধনের অধীশ্বরী।
শ= শুকমুখে ভাগবত শোনেন পরীক্ষিৎ।
ষ= ষড়ভূজ রূপে গৌর হল প্রকাশিত।
স= সর্বজনাশ্রয় কৃষ্ণ জগতের প্রাণ।
হ= হরেকৃষ্ণ আন্দোলনে কর যোগদান।
ড়= গরুড়ের পিঠে চড়ে লক্ষ্মী নারায়ণ।
ঢ়= আষাঢ়ে জগন্নাথ করেন রথে আরোহন।
য়= হায়! হায়! বদ্ধজীব কত পাপ করে।
ৎ= মৎস্যরূপে কৃষ্ণ এলেন জগৎ উদ্ধারে।
ং= হংস বাহন ব্রহ্মা করেন সৃজন।
ঃ= দুঃখ মোচন করেন শ্রীমধুসূদন।
ঁ= গৌরাচাঁদ প্রচারিলেন নাম সংকীর্তন।
" এসো দুটি ভাই গৌর-নিতাই,
দ্বিজমনি দ্বিজ রাজ হে
আমি পূজিব চরণ এই আকিঞ্চন
রাখিব হৃদয় মাঝে হে। "
পরিশেষে আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনার কোনো তথ্য জানতে সাহায্য করেছে কিনা নিম্নে কমেন্টে জানাবেন এবং আমাদের যদি কোথাও কোনো ভুল-ভ্রান্তি হয়ে থাকে তাহলে তা ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইলো । ধন্যবাদ।
জয় সনাতন 🙏 জয় হিন্দুত্ব ✊
হরে কৃষ্ণ🦚
(শেয়ার করুন, অন্যদের জানার সুযোগ করে দিন)