সুধি পাঠকবৃন্দ আজ আমরা নিয়মিত ধর্মীয় তথ্য উপস্থাপনের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিয়ে কথা বলবো । আজকের মূল টপিক হলো - মানুষের কি পুনর্জন্ম হয়, এবং হলে, কিসের ফলে তা হয় ?
মানুষের পুনর্জন্ম হয় এবং ‘কর্মের’ ফলেই তা হয়ে থাকে ৷ সাধারণ অভিজ্ঞতায় আমরা দেখি যে, শরীরের কোন অংশ কয়েক সেকেণ্ড আগুনের সংস্পর্শে এলে যে ক্ষত হয় তা সেরে উঠতে কয়েক দিন (অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ সেকেণ্ড) লেগে যায় ৷ অনুরূপে, ভালমন্দ যে সমস্ত কাজ আমরা এক জীবনে করি তার ফল ভোগ করতে আমাদের একাধিক জীবনের প্রয়োজন ! একমাত্র ভবিষ্যৎ জীবনের সম্ভাবনা মেনে নিলেই, তা হওয়া সম্ভব ৷
গত কয়েক দশক ধরে, পুনর্জন্ম বিষয়ে অনেক অনু- সন্ধান-গবেষণা চালানো হয়েছে এবং তার ফলস্বরূপ বেশ কয়েকটি ভাল বই প্রকাশিত হয়েছে ৷ মনে হয়, পুনর্জন্মবাদ যেন এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি গ্রহণীয় ৷
মানুষে মানুষে আমরা যে প্রকারভেদ ও পারস্পরিক পার্থক্য দেখি তাদের বর্তমান পারিপার্শ্বিক অবস্থার সঙ্গে তার কোন প্রত্যক্ষ যোগ আছে বলে মনে হয় না ৷ দ্রিষ্টান্তস্বরূপ , জন্ম থেকেই বিকলাঙ্গ শিশুদের কথা অথবা পরস্পরের একান্ত অনুরূপ যমজদের মানসিক গঠনের বিভিন্নতার কথা উল্লেখ করা যেতে পারে । এগুলি প্রাক্তন কর্মের ফল বলে মেনে নেওয়া এক্ষেত্রে বেশি যুক্তিসঙ্গত ৷ হিন্দুধর্মে আত্মার অমরত্ব স্বীকৃত, তাই কর্ম ও পুনর্জন্মবাদ এই তাত্ত্বিক কাঠামোর সঙ্গে চমৎকার- ভাবে খাপ খেয়ে যায় ৷ জৈন ও বৌদ্ধ ধর্মও এই তত্ত্ব বিশ্বাস করে ৷